এড়িয়ে লেখায় যান

কিছু চাওয়া কিছু পাওয়া

জুলাই 18, 2011

To
The Headmaster
St. Joseph High School
Dhaka
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন একটা বেশ কড়া নিয়ম ছিল – কোনদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে পরের দিন এ রকম একটা ছুটির দরখাস্ত নিয়ে আসতে হত। এখন কোনদিন যদি আমাদের স্কুলের কেউ নিচের মত –

To
The Headmaster
Dhanmondi Gov. Boy’s School
Dhaka
একটা দরখাস্ত লিখে ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে দিত তবে ঐ স্কুলের থেকে “সেন্ট যোসেফের ছেলেরা পাগল” এমন কিছু শুনে বের হয়ে আসতে হত। এমনকি যদি এমনটি লিখে আমাদের শ্রেণীশিক্ষকের কাছে দিলে তিনি ঐ ছেলেটিকে হয় বকা দিতেন নয়ত মাথার সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করতেন। দরখাস্তটি আবার ঠিকভাবে লিখে জমা দেয়া লাগত।

তবে এই ধরণের ভুল সাধারণত কেউ করে না। কারণ এ পার্থিব জীবনের বৈষয়িক বিষয়বস্তু কোনটি কার কাছে চাইতে হয় সেটা আমরা ভালোই বুঝি। শিশুরা মা’র কাছে খাবার চায়, বাবার কাছে বল কেনার টাকা। পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম পেলে আশ্রয় চাওয়ার জন্যে ভালো জায়গা দাদা-দাদী – এটা ছোট মানুষেরাও কিভাবে জানি বুঝে যায়। কিন্তু এই ছোট মানুষগুলোর যত বড় হতে থাকে, জ্ঞান বাড়ে, ততই কান্ডজ্ঞান লোপ পায় তাদের। সুখ-শান্তি, সুস্থতা, মেধা, সফলতা, সম্পদ, সম্মান, নিরাপত্তা ইত্যাদির জন্য এমন সবখানে ধর্ণা দিতে থাকে যাদের নিজেদেরই তা নেই।

পৃথিবীর সকল যুগের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটি হলেন শেষ নবী ও রসুল মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি মানুষকে আত্মমর্যাদা শিক্ষা দিচ্ছেন -পার্থিব বা অপার্থিব যা কিছু চাইবে তা আল্লাহর কাছেই চাও। কারণ আল্লাহ ছাড়া বাকি সবকিছুই তার সৃষ্টি, তার নিয়ন্ত্রণাধীন। সব কিছুর মালিক যিনি, সবকিছুর উপর যার ক্ষমতা – সেই আল্লাহর কাছে না চেয়ে অন্য কারো কাছে কেন চাওয়া? কেন ছোট হওয়া? যে দিতে পারবেনা তার কাছে চেয়ে কেন সময় নষ্ট করা? আর যে আসলেই দিতে পারতেন, সেই রব্বুল আলামীনকে কেন অপমান করা?

আল্লাহ ভৌত ও রাসায়নিক কিছু সূত্র তৈরি করেছেন পৃথিবীটা চালানোর জন্য। তিনি সাধারণত এই নিয়মগুলোকে ব্যবহার করেই যে চাইছে তাকে কিছু দেন। কিন্তু দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র তাঁরই। যেমন ঈসা (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) অসুস্থকে ভালো করবার সময় ফিরিয়ে দেবার সময় বলতেন “আল্লাহর আদেশে তুমি ভাল হয়ে যাও”। সুতরাং সুস্থতা দান করলেন আল্লাহ, আর মাধ্যম এখানে ঈসা। মাধ্যমের ব্যাপারটাই এরকম যে কোন কিছু হতে হলে মাধ্যম থাকতে হবে। এখন মাধ্যম – ডাক্তার বা ঔষধ। কিন্তু সুস্থতাদানকারী কিন্তু বদলাননি। আল্লাহই আদি এবং আসল সুস্থতাদানকারী, তাই তার গুণবাচক নামের মধ্যে একটি হল আশ-শাফি’ঈ।

কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর কাছে না চেয়ে মাধ্যমের কাছে চাওয়া শুরু করি তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? “হে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, আমার মাথা ব্যাথা সারিয়ে দাও” -কথাটার কি কোন মানে হয়? বাংলা সিনেমার নায়ক খুব নাটকীয় ভাবে বলে -“ডাক্তার আমার মাকে বাঁচান, ডাক্তার”। আশ্চর্য! ডাক্তার ঔষধ দিতে পারে, বা ইঞ্জেকশন; চাইকি ছুরি-কাঁচি চালিয়ে কিছু কাটা-ছেড়াও করতে পারে। কিন্তু সে সুস্থতা কোথা থেকে দেবে? জীবন তো আরো পরের কথা।

এটা হলো সেকুলার মূর্খতা – অসুখ হলেই ডাক্তারের কাছে দৌড়াও, ঔষধের লিস্ট নিয়ে ফার্মেসীতে যাও। যে আল্লাহর হাতে সমস্ত আরোগ্য তাকে একবার মনেও পড়লোনা? এই সেকুলার মূর্খতার সমান্তরালে আছে আরেক অপার্থিব মূর্খতা। ক্যান্সার রোগী – সব চিকিৎসা ব্যর্থ হবার পর নিয়ে চলেছে ভারতের আজমিরে -সেখান থেকে কেউ নাকি কালি হাতে ফেরে না। হায়রে মানুষের বিবেক! খাজা বাবা যদি মৃত্যু ঠেকাতেই পারতেন উনি মাটির নিচে শুয়ে কি করছেন? আমাদের ফিজিওথেরাপির ক্লিনিকে দেখতাম অসুস্থ বাচ্চার গলা থেকে উরু পর্যন্ত তাবিয – দশটা তাবিয লাগানোর পরেও যখন ভালো হচ্ছেনা তখন মানুষ এগারো নম্বর খোঁজে, তাও বোঝেনা এগুলো যে কোন কাজেরই না।

আমরা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে আরোগ্য চেয়ে চাই তবে তা হবে ভুল জায়গায় দরখাস্ত দেয়ার মত। আমরা আল্লাহর কাছেই চাই -সরাসরি, কারো মাধ্যম দিয়ে নয়। আল্লাহ সব দেখেন, শোনেন -আমাদের চাওয়াটা তাকে শোনানোর জন্য কোন কিছুর মাধ্যম দিয়ে যাবার দরকার নেই মোটেই। কেউ যদি আল্লাহর কাছ থেকে কিছু পেতে অন্য কারো কাছে চায়, বা কোন ‘বস্তু/ব্যক্তি’ এর মাধ্যমে চায় -সেটার নামই শির্ক‌। ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় পাপ, যার কোন ক্ষমা নেই।
তবে একজন মুসলিম আপন সৎ কাজের উসিলা দিয়ে দু’আ করতে পারে, আল্লাহর সুন্দর নাম ও গুণের উসিলা দিয়েও দু’আ করতে পারে। এছাড়া কোন সৎ ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলতে পারে: “আমার জন্য দু’আ করুন”। এ তিনটি ক্ষেত্রে ব্যতীত অন্য কোনভাবেই আল্লাহর কাছে চাওয়ার সময় মাধ্যম বা উসিলা ধরা যাবেনা।

আল্লাহ যেহেতু আমাদের শুধুমাত্র তাঁর ইবাদাতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন তাই কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করে তবে তা আল্লাহ ক্ষমা করেননা। দু’আ করা অনেক বড় একটা ইবাদাত। রসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
দু’আ-ই ইবাদাত”

শির্ক করে আল্লাহর কোন সৃষ্টির কাছে দু’আ করলে সেটা কোন কাজের জিনিসও হয়না, কারণ আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ, কেউই কিছু দিতে পারেননা। মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা ঈসা (আঃ) এর মত কোন প্রেরিত পুরুষ বা কোন মৃত সৎ ব্যক্তি বা পাথরের কোন প্রতিমা – কোন কিছুরই সাধ্য নেই মানুষকে কিছু দেয়। দেবার সাধ্য একমাত্র আল্লাহর। এই বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে সুরা ফাতিহাতে আল্লাহর প্রশংসা শেষ করবার পর আল্লাহর কাছে কিছু চাইবার আগে তাকে বলে নেই –
ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন
অর্থাৎ আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং একমাত্র তোমার কাছেই সাহায্য চাই। এজন্য রসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুব স্পষ্টভাবে আমাদের শিখিয়ে দিলেন:
চাইলে কেবল আল্লাহর কাছেই চাও, সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে কেবল আল্লাহর কাছেই কর।”২

এখন কেউ বলতে পারে যে সে আল্লাহর কাছে অনেক সাহায্য চেয়েছিল কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। পূর্ণাঙ্গভাবে মুসলিম হয়ে অর্থাৎ আল্লাহর সব আদেশ-নিষেধ মেনে চললে এবং কোন প্রার্থনার ফল পাবার জন্য অধৈর্য না হলে আল্লাহ অবশ্যই সেই প্রার্থনার সাড়া দেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে আল্লাহ যেভাবে সাড়া দেন তা অনেকেই ধরতে পারেনা। আল্লাহ তারা বান্দাদের নিশ্চিত করছেন যে তিনি কোন বধির ভগবান নন –
আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, [বল] আমি তো কাছেই। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে।

আল্লাহ হয় মানুষকে কাম্য বস্তু দেন, নয়ত তার বদলে আরো ভালো কিছু দেন, নয়ত দু’আর বদলে আখিরাতে প্রতিদান দেন। দু’আ তাই কখনো ব্যর্থ হয়না, কখনো না।

কেউ খুব দু’আ করলো যে “আল্লাহ আমার মাকে ভাল করে দাও” কিন্তু তার মা মারা গেল। তখন সে হয়ত ভাবতে শুরু করল আল্লাহ বলে কেউ নেই, থাকলেও আমার জন্য নেই। কিন্তু সে এটা বুঝতে পারলোনা যে আল্লাহ তার মায়ের মৃত্যু দিয়েছেন কারণ সেটাই তার জন্য মঙ্গল ছিল। বেঁচে থাকলে সে হয়ত অনেক কষ্ট পেত। হয়ত সে তার সন্তানদের অনেক ঝামেলায় ফেলত। হয়ত এমন অবস্থা আসত যখন সন্তানেরা মুখে না বললেও মনে মনে বলত “মা মরলেই বাঁচি”। এসব থেকে বাঁচানোর জন্যই আল্লাহ তাকে ঠিক যখন দরকার তখন তুলে নিয়েছেন।

আবার উল্টোটিও হতে পারে। কেউ বলতে পারে সে কোন পীর বা মাজার বা খুব জাগ্রত কোন দেব-মূর্তির কাছে কিছু চেয়ে পেয়েছে। ব্যাপারটি হচ্ছে যদি তারা এসবের কাছে নাও চাইতো তাও তারা যা পেয়েছে ঠিক তাই পেত। কারণ দিয়েছেন আল্লাহ এবং তিনি ঠিক করেই রেখেছেন কাকে কি দেবেন। মুশরিকরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে চাওয়ায় তিনি রাগ করে তাদের কিছুই দেবেননা এমনটি হবার নয়। যদি হত তবে যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে বা তার নিন্দা করে এমন মানুষগুলো খেতেই পেতোনা, নিঃশ্বাস নেবার অক্সিজেনই পেতোনা। একজন মানুষের কাছে একটা মাছির একটা ভাঙ্গা ডানার মূল্য যতটা আল্লাহর কাছে এই পুরো সৃষ্টিজগতের মূল্য যদি ততটুকুও হত তবেই হয়ত একজন কাফিরকে আল্লাহ না খাইয়ে রাখতেন। আল্লাহ আমাদের থেকে এতটাই অমুখাপেক্ষী।

সুতরাং মানুষ যা পাবার তা পাবেই কিন্তু মাঝ থেকে কি ক্ষতি হল? আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে চেয়ে – সেটা যীশু হোক, দেবী দুর্গা বা কালী হোক, বায়োজিদ বোস্তামি বা মঈনুদ্দিন চিশতি হোক এমনকি স্বয়ং মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হোক; পরকালে শাস্তি অনন্তকালের জন্য আগুন হিসেবে নির্ধারিত হল।

দু’আ জিনিসটিকে আমরা খুব হেলা-ফেলা করি। আমি যখন হাজ্বে যাচ্ছিলাম তখন পরিচিত অনেকেই তাদের জন্য “দু’আ-টু’আ” করতে বলেছিল। অথচ মাসজিদুল হারামে মরক্কোর এক ছেলের সাথে আমি ভাঙ্গা ভাঙ্গা আরবিতে কথা বলতে বলতে জানিয়েছিলাম যে আমি আরবি পারিনা তবে শিখছি। তারপর অনেকটা অভ্যাসবশতই বলেছিলাম যে আমার জন্য দু’আ করতে যেন ভাল আরবি শিখতে পারি। সে তখুনি উঠে গিয়ে দু’রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করে আসল যেন আমি ভালভাবে আরবি শিখে যাই। দু’আ চাওয়া এবং দু’আ করাটাকে ভাল মুসলিমরা এত গুরুত্ব দেয় যে আমরা তা কল্পনাও করতে পারিনা।

আর দেবে নাই বা কেন? রসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শিক্ষা এই যে যখন কোন মুসলিম তার অন্য মুসলিম ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে কিছু চায় তখন কিছু ফেরেশতা সাথে সাথে বলে “তোমার জন্যও অনুরূপ” আর এজন্য সাহাবিরা যদি কোন জিনিসের অভাব বোধ করতেন তবে অন্য কোন ভাইয়ের জন্য সে জিনিসটা আল্লাহর কাছে চাইতেন। কারণ যে নিজের জন্য কিছু চায় সে একা শুধু নিজেরই জন্য চায়। আর যে অন্যের জন্য চায় অনেক ফেরেশতা তার পক্ষে সে দু’আ করে দেয়। আর ঠিক একই কারণে তারা ভুলেও মুসলিম ভাইকে অভিশম্পাত করতেননা, অমঙ্গল চাইতেননা।

যারা নিজেরা মুসলিম বলে দাবী করে কিন্তু ইসলামের ন্যুনতম আচরণ-বিধি পালন করেনা, এমন কাউকে দু’আ করতে বলাটা নিছক সামাজিকতা যেটা ইসলাম মানার ক্ষেত্রে পরিহার করা উচিত। দু’আ মানে মৌলভি/ পাদ্রী/ পুরোহিত ডেকে কিছু অর্থের বিনিময়ে বলা বাক্য নয়, সামাজিকতা রক্ষার্থে বলা কিছু অর্থহীন উচ্চারণ নয়। দু’আ মানে বিনীত ভাবে স্রষ্টার কাছে কিছু চাওয়া, মনের গভীর থেকে – আকুল ভাবে, রসুলের শেখানো উপায়ে। একজন মানুষ আল্লাহকে ঘ্যান ঘ্যান করে বলবে – আল্লাহ এটা দাও, ওটা দাও -বলতে থাকবে, বলতেই থাকবে -এমনটাই তো আল্লাহ চান। আল্লাহর কাছে দু’আ না করা অহংকারীর লক্ষণ – এমন মানুষকে আল্লাহ ভালোবাসেননা।

যারা খুব ভালো মুসলিম তারা খালি আল্লাহর কাছেই চায়। এ ব্যাপারটাকে সাহাবারা এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে উটের পিঠে বসা অবস্থায় কারো হাত থেকে লাঠি পড়ে গেলে তারা উট থেকে নেমে লাঠিটা তুলে আবার ঊটের পিঠে গিয়ে বসতেন। নিচ দিয়ে হেটে যাচ্ছে -এমন আরেকজন মুসলিমের কাছে লাঠিটা চাবেন – এত সামান্য চাওয়াটুকুও তারা এড়িয়ে চলতেন। আমি যখনই কারো কাছে কোন একটা সুবিধা চাইবো, তখনই কিন্তু আমি ঐ মানুষটার কাছে একটা কৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ হয়ে যাবো। এরপর যদি কখনো সে আমার কাছে একটা অনায্য সুবিধা চায় তাকে ঘুরিয়ে দেয়া ভারী কষ্ট হবে। যদিও বা অনেক সৎ সাহসে ফিরিয়ে দেই, সে যে অন্যায়টা করছে তার ব্যাপারে নিষেধ করবার মত মুখ কিন্তু আমার থাকবেনা।
এতো গেল ভালো মুসলিমদের কথা। আমার মত দুধভাত মুসলিমদের কি হবে? তারা কি কারো কাছেই কিছু চাইতে পারবেনা? হ্যা পারবে, কিন্তু যার কাছে চাচ্ছি তাকে –

১. জীবিত, ২. উপস্থিত ও ৩. সক্ষম – হতে হবে।

মরা মানুষের নিজেরই সব আমল বন্ধ হয়ে যায়, অন্যের জন্য সে কি করবে? আর সব কিছু শোনার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। মনের মোবাইলে পীরকে ফোন করে কোন কিছু চাওয়ার ভন্ডামি ইসলামে নেই। আর যার কাছে চাইছি তার সে জিনিসটা দেবার ক্ষমতা থাকা চাই। এই তিন শর্ত পূরণ হলে কোন মানুষের কাছে কোন জিনিস চাওয়া বৈধ। তবে উত্তম হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা, নিজের কাজ নিজে করা।

আমরা সবাই যেন নিশঙ্ক চিত্তে, নিখাদ মনে একমাত্র আল্লাহর কাছে দু’আ করতে পারি, আল্লাহর কাছে সেই দু’আই করি। আমিন।

…………………………………………….

১ আহমদ, আবু দাউদ আলবানির মতে সহিহ
২ সুনানে তিরমিযি আলবানির মতে সহিহ
৩ সুরা আল বাকারা আয়াত ১৮৬

………………………………………
লেখকঃ মনপবন

No comments yet

আপনার মন্তব্য রেখে যান এখানে, জানিয়ে যান আপনার চিন্তা আর অনুভুতি